মজার গল্প
তৃতিয় শ্রেণীর এক মেয়ে প্রথম সাময়িক পরীক্ষার সময় 'কুমির' রচনা শিখেছে। সমস্যা হলো এরপর যে পরীক্ষাই আসুক, সে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে সেই কুমিরের রচনাই লেখে।
যেমন একবার রচনা এলো: বাবা মায়ের প্রতি সন্তানের কর্তব্য।
তো সে লিখলো: বাবা মা আমাদের জন্ম দেয়। তারা আমাদের লালন পালন করে। কুমিররাও তাই করে। জেনে রাখা ভালো যে, কুমির একটি সরীসৃপ প্রাণী। এটি জলে বসবাস করে। এর চোখ গোল গোল। কুমিরের পিঠ খাঁজ কাটা, খাঁজ কাটা, খাঁজ কাটা, খাজ কাঁটা..আট পৃষ্ঠা শেষ।
এর পরের পরীক্ষায় রচনা এলো: আমার প্রিয় শিক্ষক।
সে লিখল: আমার প্রিয় শিক্ষকের নাম আসাদ স্যার। তার চোখগুলো গোলগোল। কুমিরেরও চোখ গোল গোল। জেনে রাখা ভালো যে, কুমির একটি সরীসৃপ প্রাণী। এটি জলে বসবাস করে। এর চোখ গোল গোল। কুমিরের পিঠ খাঁজ কাটা, খাঁজ কাটা, খাঁজ কাটা, খাজ কাঁটা...আট পৃষ্ঠা শেষ।
শিক্ষক দেখলেন, এ তো ভারী বিপদ। শেষে তিনি অনেক ভেবেচিন্তে রচনার বিষয় ঠিক করলেন: পলাশীর যুদ্ধ। লেখ ব্যাটা, এই বার দেখি কী করে তুই কুমিরের রচনা লিখিস।
তো ছাত্রী লিখলো: ১৮৫৭ সালে পলাশীর প্রান্তরে ইংরেজ এবং বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজ উদ্দৌলার মধ্যে যুদ্ধ সংগঠিত হয়েছিল। এই যুদ্ধে নবাব সিরাজ উদ্দৌলা তার সেনাপতি মীরজাফর-এর ওপর ভরসা করে খাল কেটে কুমির এনেছিলেন। জেনে রাখা ভালো যে, কুমির একটি সরীসৃপ প্রাণী। এটি জলে বসবাস করে। এর চোখ গোল গোল। কুমিরের পিঠ খাঁজ কাটা, খাঁজ কাটা, খাঁজ কাটা, খাজ কাঁটা...দশ পৃষ্ঠা শেষ।
হ্যাহ্যাহ্যহ্য !!!!
0 Comments