আপনার রুপর্চায় রোগ মুক্তিতে বেছে নিন নিমপাতা ও হলুদ

   আপনার রুপর্চায় রোগ মুক্তিতে বেছে নিন নিমপাতা ও হলুদ
নিমপাতার গুনা গুন  (১১)  


নিমপাতাঃ


(১) জন্ডিস হলে প্রতিদিন সকালে নিম পাতার রস একটু মধু মিশিয়ে খালি পেটে খেতে হবে। ২৫-৩০ ফোঁটা নিম পাতার রস একটু মধুর সাথে মিশিয়ে সকালে খালি পেটে খেলে জন্ডিস আরোগ্য হয়। জন্ডিস হলে এক চামচ রসের সাথে একটু মধু মিশিয়ে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে খান। পুরোপুরি নিরাময় হতে এক সপ্তাহ চালিয়ে যেতে হবে।

২) প্রতিমাসে একদিন নিমপাতা বেটে আপনার সমস্ত শরীরে মাখলে বিভিন্ন   রোগ জীবানু প্রতিরোধ থেকে বাচতে পারবেন। 

৩) ২০-২২ টি নিমপাতা ও ২৫ গ্রাম কাচা হলুদ এক সংঙ্গে মিশিয়ে বেটে শরীরে 
মাখলে কোন চর্মরোগ  হয় না।শরীর মোলায়েম ও উজ্জল হয়। সপ্তাহে       আন্তত  মাখতে হবে। 

৪) ১ চামচ নিমপাতার গুড়ো ও ১ চামচ মধু এক সাথে মিশিয়ে সকালে খালিপেটে খেলে ক্রিমিরোগ এবং আমাশার রোগ প্রতিরোধ হয়। 

৫) রোজ সকালে খালি পেটে  ১ চামচ নিমপাতার রস এবং ১ চামচ কাচা 
 হলুদের রস মিশিয়ে খেলে রক্ত পরিষ্কার হয় ও  বায়ু পিত্ত েএবং কফ নাশ  
করে। চোখের দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধি করে। 

৬) পোকা-মাকড়ের কামড়
পোকা মাকড় কামড় দিলে বা হুল ফোঁটালে নিমের মূলের ছাল বা পাতা বেটে ক্ষত স্থানে লাগালে ব্যথা উপশম হবে।

৭) নিম পাতা সিদ্ধ করে সেই জল দিয়ে স্নান করলে খোসপাচড়া চলে যায়। পাতা বা ফুল বেটে গায়ে কয়েকদিন লাগালে চুলকানি ভালো হয়। পাতা ভেজে গুড়া করে সরিষার তেলের সাথে মিষিয়ে চুলকানিতে লাগালে যাদুর মতো কাজ হয়। নিম পাতার সাথে সামান্য কাঁচা হলুদ পিষে নিয়ে আক্রান্ত স্থানে প্রলেপ আকারে ৭-১০ দিন ব্যবহার করলে খোস-পাঁচড়া  উপশম হয়। নিম পাতা ঘিয়ে ভেজে সেই ঘি ক্ষতে লাগালে ক্ষত স্থান অতি সত্বর আরোগ্য হয়।

৮) ঠাণ্ডাজনিত বুকের ব্যথা অনেক সময় বুকে কফ জমে বুক ব্যথা করে। এ জন্য ৩০ ফোটা নিম পাতার রস সামান্য গরম জলতে মিশিয়ে দিতে ৩/৪ বার খেলে বুকের ব্যথা কমবে। গর্ভবতীদের জন্য ঔষধটি নিষেধ।

৯) বহুদিন যাবৎ রূপচর্চায় নিমের ব্যবহার হয়ে আসছে। ত্বকের দাগ দূর করতে নিম খুব ভালো কাজ করে। এছাড়াও এটি ত্বকে ময়েশ্চারাইজার হিসেবেও কাজ করে। ব্রণ দূর করতে নিমপাতা বেটে লাগাতে পারেন।বড়ি তৈরি করে নিমের বড়িও খাওয়া যেতে পারে। বড়ি তৈরি করতে নিমপাতা ভালোভাবে ধুয়ে বেটে নিন। এবার হাতে ছোট ছোট বড়ি তৈরি করুন। বড় ডিশে ফ্যানের বাতোসে একদিন রেখে দিন। পরদিন রোদে শুকোতে দিন। নিমের বড়ির জল একেবারে শুকিয়ে এলে বয়ামে সংরক্ষণ করুন । তাই ত্বকের সুরক্ষায় এর জুড়ি নেই। ব্রণের সংক্রমণ হলেই নিমপাতা থেঁতো করে লাগালে ভালো ফল নিশ্চিত। মাথার ত্বকে অনেকেরই চুল্কানি ভাব হয়, নিমপাতার রস মাথায় নিয়মিত লাগালে এই চুলকানি কমে। নিয়মিত নিমপাতার সাথে কাঁচা হলুদ পেস্ট করে লাগালে ত্বকের উজ্জলতা বৃদ্ধি ও স্কিন টোন ঠিক হয়। তবে হলুদ ব্যবহার করলে রোদ এড়িয়ে চলাই ভালো। নিমপাতার চেয়ে হলুদের পরিমাণ কম হবে। নিমপাতা সিদ্ধ জল গোসলের জলর সাথে মিশিয়ে নিন। যাদের স্কিন ইরিটেশন এবং চুল্কানি আছে তাদের এতে আরাম হবে আর গায়ে দুর্গন্ধের ব্যাপারটাও কমে যাবে।

১০) উকুন বিনাশে নিমের ব্যাবহারে উকুনের সমস্যা দূর হয়। নিমের পেস্ট তৈরি করে মাথার তালুতে ম্যাসাজ করুন, তারপর মাথা শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন এবং উকুনের চিরুনি দিয়ে মাথা আঁচড়ান। সপ্তাহে ২-৩ বার ২ মাস এভাবে করুন। উকুন দূর  হবে।
১১) ভাইরাস রোগ ভারতীয় উপমহাদেশে ভাইরাল রোগ নিরাময়ে নিম ব্যবহৃত হয়। নিমপাতার রস ভাইরাস নির্মূল করে। আগে চিকেন পক্স, হাম ও অন্য চর্মরোগ হলে নিমপাতা বাটা লাগানো হতো। এছাড়াও নিমপাতা জলতে সিদ্ধ করে সে জল দিয়ে স্নান করলে ত্বকের জ্বালাপোড়া ও চুলকানি দূর হয়।

Post a Comment

0 Comments